ad

সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ

 সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ

সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি থেকে আমরা জানব। প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি জানতে চাচ্ছেন সিজারের পর ইনফেকশন এর লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত। এক বা একাধিক জন্মদানের ফলে নরমাল ডেলিভারি বা নরমাল প্রসব সম্ভব হয় না অথবা অনেকে করেন না। ফলে একবার একাধিকবার সিজার করতে হয় এবং এই সিজারের ফলে ইনফেকশনের সম্ভাবনা হয়। এবং ইনফেকশন হলে করণীয় কি সেটা সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা করব।

সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ
সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ

আমরা আজকে আর্টিকেলটি সহকারে পড়লে আর্টিকেলটি থেকে সিজারের পর ইনফেকশন লক্ষণ এবং সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় কি এটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবো। তাহলে চলুন জেনে নেই - সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ। 

পেজ সূচিপত্র : সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ

  • সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ।


  • সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় কি।


  • সিজারের পর ইনফেকশন কেন হয়।

সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ


গুগলে সার্চ করছেন সিজারের পর ইনফরমেশন এর লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে এবং সেখান থেকে আমাদের এই পোস্টটি আপনি পড়তেছেন।


তাই আজকে আমরা এখানে আলোচনা করব সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণসমূহ কি কি। বাংলাদেশের দিন দিন সিজারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর ফলে একজন মায়ের শরীরে একাধিক সিজার বা সিজারের পর স্বাস্থ্যবিধির না মানতে পারার কারণে সিজারের পর ইনফেকশন হয়। 


সিজার সাধারণত এক বা একাধিক শিশু জন্মদানের জন্য মায়ের উদর ও জরায়ুতে করা হয়। সাধারণত সিজার তখনই করা হয় যখন প্রাকৃতিক নিয়মে বাচ্চার জন্ম দেওয়া সম্ভব হয় না বা কোন সমস্যা থাকে। এই সিজারের পর সাধারণত যে ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো দেখা যায় সেগুলো চলুন আমরা এখন জেনে নিই। 


  • সিজারের পর প্রাথমিক ইনফেকশনের লক্ষণ হচ্ছে সিজারের জায়গায় লালচে ভাব হওয়া অথবা জায়গাটি লাল হয়ে যাওয়া।


  • অপারেশনের জায়গা বাজেভাবে ফুলে যাওয়া এবং প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হওয়া।


  • পড়াশোনার জায়গা থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়া অস্বাভাবিক রক্ত যাওয়া অথবা অপারেশনের জায়গা থেকে পুঁজ বা এ জাতীয় কিছু বের হওয়া।


  • অপারেশনের পর শরীরে অস্বাভাবিক জ্বর হওয়া এবং শরীর ব্যথা করার।


  • সিজারের পর স্বাভাবিক জীবন-যাপনে বাঁধাগ্রস্ত যেমন বমি বমি ভাব হওয়া পেট ব্যথা করা এবং শরীরের স্বাভাবিক অস্বস্তি বোধ করা ইত্যাদি সিজারের পর ইনফেকশন এর লক্ষণ।


  • যোনিপথে দুর্গন্ধযুক্ত তরল জাতীয় পদার্থ বের হওয়া।


সিজারের পর যদি এ লক্ষণগুলো রোগের শরীরে দেখা যায় তাহলে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং ঔষধ সেবন করা উচিত। কোথায় ইনফেকশন বেড়ে গেলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় কি


আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি সিজার কি এবং সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ সমূহ কি কি। আমাদের শুধু সিজার ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে জানলে হবে না এর প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হবে। সিজার হল চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি জটিলতম অপারেশন। যার ফলে এই অপারেশনের পরে ইনফেকশনের লক্ষণ বেশি থাকে এবং আমাদের উচিত সিজারের পর ইনফেকশন হলে স্বাস্থ্যবিধে মেনে চলা এবং সঠিক উপায়ে এর প্রতিকার করা। আমরা জেনে নেই সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় কি:


  • সিজার একটি বড় অপারেশন। এই অপারেশনের পর সেরে ওঠা ও নিজের স্বাস্থ্য ফিরে পাওয়া একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। নবজাতকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নিজের যত্ন নেওয়াটাকে অনেক মা-ই অবহেলা করেন। ফলে শারীরিক ফিটনেস ফিরে পেতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়।


  • ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক কাপড় পরুন। সিনথেটিক কাপড়ের পরিবর্তে সুতি কাপড়ের অন্তর্বাস বেছে নিন।


  • অপারেশনের জায়গাটি সাবান ও পানি দিয়ে প্রতিদিন একবার আলতো করে পরিষ্কার করুন। বেশি জোরে জোরে ঘষা-মাজা করবেন না। পরিষ্কার করা শেষে জায়গাটা শুকনো তোয়ালে বা গামছা দিয়ে ভালোমতো শুকিয়ে নিন।


  • স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখুন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম এবং শরীরকে আরাম দিন। শরীরের স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে সিজারের পর 24 ঘন্টা সকল হাঁটাচলা নিজে এবং অন্য কারো সাহায্য নেওয়া ছাড়া করুন।


  • পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাবার খেতে হবে যেমন শাক সবজি ফলমূল এবং বেশি করে আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।


  • প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি গ্রহণ করতে হবে এবং ফলের মধ্যে ভিটামিন সি জাতীয় ফল বেশি গ্রহণ করতে হবে এতে করে ক্ষতস্থান দ্রুত হেরে উঠতে সহায়তা করবে।



list-style-type: disc; vertical-align: baseline; white-space: pre;">

স্বাভাবিক খাবারের থেকে একটু বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে।


  • সিজারের সেলাই এর উপর যেন চাপ না পড়ে এজন্য ভারী কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে এবং যেন কোষ্ঠকাঠিন্য না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।


  • সিজার এর সেলাইয়ের উপর বারবার হাত দেওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে, যদি বিশেষ কোনো প্রয়োজন হাত দিতে হয় তাহলে হাত অবশ্যই পরিষ্কার থাকতে হবে।


  • কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ বাদ দেড় মাস কোন প্রকার সহবাস করা থেকে বিরত রাখতে হবে। সিজারের পর ছয় সপ্তাহের মধ্যে সহবাস করলে ফিডারের জায়গায় চাপ লেগে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে এবং ইনফেকশন হতে পারে।

সিজারের পর ইনফেকশন কেন হয়


আমরা উপর একটি বিষয়ে সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ ও সিজারের পর ইনফেকশন থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এখন আমরা জানবো সিজারের পর ইনফেকশন কেন হয়।

সিজারিয়ান সেকশন (সিজার) একটি অস্ত্রোপচার পদ্ধতি যা শিশুকে জন্ম দেওয়ার জন্য করা হয়। এই পদ্ধতিতে পেটের উপর কেটে শিশুকে বের করা হয়। সিজারের পর ইনফেকশন একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এটি নিয়ে আপনাদের বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই কারণ সিজারের পর ইনফেকশনের হার প্রায় 1% থেকে 5%। তো চলুন সিজারের পর ইনফেকশন কেন হয় এটা নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেই।


  • রোগের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে, কারণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে সিজার বা যে কোন অপারেশনের পর রোগে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ইনফেকশন হতে পারে।


  • সিজারের পর যদি রক্তনালী সঠিকভাবে বন্ধ না করা হয় তাহলে ওইখান থেকে রক্ত জমাট বেঁধে ইনফেকশন হতে পারে।


  • যদি অপারেশন থিয়েটারে কোন ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস থাকে এবং তার রোগীর শরীরের সংক্রমণ করে এবং সেটি পরিশোধন না করা হয় তাহলেও সিজার করার পর রোগী শরীরে সংক্রমণ হতে পারে।


  • সিজারের ব্যবহৃত যে কোন সরঞ্জামাদির মধ্যে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে এবং তা যদি সঠিকভাবে পরিষ্কার না করে ব্যবহার করা হয় তাহলে সিজারের পর ইনফেকশনের হার অনেকটা বেড়ে যায়।


  • যে হাসপাতালে অপারেশন করা হয় অথবা রুগীর বাসা বাড়িতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকলে সেখান থেকে রোগী সংক্রমিত হয়ে রোগীর ইনফেকশন হতে পারে।



s: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; text-wrap: wrap; vertical-align: baseline;">সিজারের পর মায়ের পুষ্টি জনিত সমস্যা থাকলে ইনফেকশন হতে পারে ।কেননা সিজারের পর মায়ের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি প্রয়োজন হয় এবং সেই পুষ্টি যদি শরীরে সরবরাহ না হয় তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে এবং সেখান থেকে রোগীর শরীরে ইনফেকশন হতে পারে।

তো এই পর্যন্তই ছিল সিজারের পর ইনফেকশন কেন হয় এটা নিয়ে বিস্তারিত। 

তো সর্বোপরি বলতে হয় সিজারের পর যে কোন ইনফেকশন বা যেকোনো সমস্যা হলে দ্রুত একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া এবং ডাক্তারের কথা মত চলাচল এবং ঔষধ সেবন করা। আশা করি বুঝতে পেরেছেন সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ সিজারের পর ইনফেকশন কেন হয় এবং সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় কি বিস্তারিত তথ্য।


তো আজকে এই পর্যন্তই আশা করি আর্টিকেল টুকু আপনি বুঝতে পেরেছেন এবং আর্টিকেল টুকু আপনার উপকারে আসবে। আর্টিকেলটা যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং এটি যদি হেল্প ফুল হয় তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। বং এরকম আরো হেল্পফুল এবং ইন্টারেস্টিং আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url